https://www.profitableratecpm.com/dc6j5fzn?key=adee379b8d0283b3565393e4721cd8ce
- অ্যালেন লিটল
- জ্যেষ্ঠ সংবাদদাতা
গত মাসে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি কি ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, "আমি এমনটা করতে পারি আবার না-ও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।"
তিনি বিশ্বকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিলেন যে, তিনি দুই সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছেন যাতে ইরান আবার আলোচনায় ফিরতে পারে। অথচ এরপরেই তিনি ইরানে বোমা হামলা চালান।
এতে করে একটা অদ্ভূত ধরণ স্পষ্ট হয়েছে: ট্রাম্প সম্পর্কে যে বিষয়টি একমাত্র পূর্বানুমান করা যায় যে, তিনি অনির্ভরযোগ্য। তিনি যেকোনো সময় তার মত বদলান। নিজের কথাই অস্বীকার করেন আর কোনো কাজেই ধারাবাহিক নন।
"ট্রাম্প, অত্যন্ত কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী কাঠামো গড়ে তুলেছেন, সম্ভবত রিচার্ড নিক্সনের পর পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা," বলেছেন লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক পিটার ট্রুবোভিট্জ।
এর ফলে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো অনেক বেশি নির্ভর করে ট্রাম্পের চরিত্র, তার পছন্দ এবং মেজাজের ওপর।"
ট্রাম্প তার খামখেয়ালি আচরণকে রাজনৈতিক কাজে লাগিয়েছেন। তিনি এটাকে বড় কৌশল ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করছেন।
তার এই খামখেয়ালিপনা শুধু অভ্যাস না, বরং একটা নিয়ম বা নীতি বানিয়ে ফেলেছেন। এখন তার এই আচরণই আমেরিকার বিদেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো চালাচ্ছে।
এখন এই খামখেয়ালি স্বভাবই হোয়াইট হাউসে বসে আমেরিকার বিদেশ ও নিরাপত্তা নীতি চালাচ্ছে। আর সেটি বিশ্বের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা একে আখ্যা দিয়েছেন 'ম্যাডম্যান থিওরি' বা 'পাগল তত্ত্ব' হিসেবে। যেখানে একজন বিশ্বনেতা তার প্রতিপক্ষকে বোঝাতে চান যে, তিনি তার মেজাজ-মর্জি অনুযায়ী যেকোনো কিছু করতে পারেন। এতে করে প্রতিপক্ষ ভয় পেয়ে ছাড় দিতে পারে।
ঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটা একধরনের চাপ তৈরি বা বাধ্য করার কৌশল এবং ট্রাম্প মনে করেন, তার এই কৌশল কাজ করছে।
এর মাধ্যমে তিনি আমেরিকার মিত্রদের তার নিজের মতো করে চালাতে পারছেন।
কিন্তু এই পদ্ধতি কি শত্রুদের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে? আর এর দুর্বলতা কি এমন হতে পারে, যেহেতু এটা ট্রাম্পের চিরাচরিত স্বভাবের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, তাই প্রতিপক্ষ বিভ্রান্ত না হয়ে বরং আগেভাগে অনুমান করতে পারেন যে ট্রাম্প কী করতে পারেন।
আক্রমণ, অপমান এবং আলিঙ্গন
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্সি শুরু করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলিঙ্গন করে এবং আমেরিকার মিত্রদের আক্রমণ করে।
তিনি কানাডাকে অপমান করে বলেছিলেন, এটির যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেছেন, তিনি গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি ব্যবহারের কথাও বিবেচনা করতে পারেন। গ্রিনল্যান্ড হলো আমেরিকার মিত্র ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
0 Comments